ভগবতী কামন্দকি বললেন, "আমরা সবেমাত্র অর্ধেক কাজ শেষ করেছি। এখন আমাদের মাকরান্দ ও মদ্যন্তিকারও বিয়ে করতে হবে।"
লবঙ্গীকা শীঘ্রই তাদের নিয়ে আসলো এবং ভগবতী কামন্দকি তাদের ও বিবাহ করিয়ে দিলেন।
তখন তিনি বললেন, আমরা এই সব গোপনে করেছি। এই বিবাহগুলির খবর কোনওভাবেই এখান থেকে যেন বেরোতে না পারে। মালতী, তুমি আমার মঠের জন্য তাত্ক্ষণিক চলে যাও। নদীর তীরে একটি ছোট্ট ঘরে তোমার থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তোমার বাইরে লোকেদের মধ্যে যাওয়া উচিত হবে না। সেখানে সব ধরণের জরুরি জিনিস তোমার কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। বাইরে দুটি ঘোড়া দাঁড়িয়ে তোমার পথ দেখছে। এখন তুমি যাও। "
মাধব ও মালতী ঠিক তেমন করল যেমন তাদের বোঝানো হয়েছিল। তারা নদীর তীরে একটি বাড়িতে তাঁর নতুন জীবন শুরু করল। মাকরান্দ এবং মদ্যান্তিকা তাদের বাড়িতে এমনভাবে বাস করত যেন কিছুই ঘটে নি। মালতীর নিখোঁজ হওয়ার কারণে শহরে প্রচুর শব্দ চল ছিল। তাঁর বাবা-মা এবং অন্যান্য আত্মীয়রা হতবাক হয়ে গেছে। রাজা তাঁর খোঁজ করার জন্য কিছু বাদ দেয়নি। ভুরিভাসুর নির্দেশে অনেক সৈন্য কে মন্দিরগুলির তদারকি করার জন্য নিযুক্ত করা হলো।
কালী মন্দিরে ও নজরদারি করার জন্য সৈন্যদের মোতায়েন করা হলো। তবে ভুরিভাসু তার মেয়ের কোনও খবর পায়নি। সে এতটাই হতাশ ও দু: খিত হয়ে পড়লো যে সে তার জীবন শেষ করার কথা ভাবতে শুরু করে।
দিন কেটে গেল এবং ভুরিভাসু আরও বেশি হতাশ হয়ে উঠল। তিনি মন্দিরের কাছে আগুন জ্বালানোর নির্দেশ দিলেন যাতে সে তার উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে মারা যায়। এর মধ্যে পদ্মাবতী রাজ্যে কিছুটা অশান্তি ঘটে গেলো। একটি শত্রু দেশ তাদের উপরে আক্রমণ করে দিয়েছে। রাজা তাঁর সেনাবাহিনীকে শত্রুর সাথে লড়াই করার নির্দেশ দিলেন। ভগবতী কামন্দকি ভাবলেন এটি একটি ভাল সুযোগ।
মাধব এবং মাকরান্দকে সেনাবাহিনীতে ভর্তি হয়ে নিজের বীরত্ব প্রদর্শন করা উচিত। তিনি উভয়ই বললেন যে তোমরা অস্ত্র নিয়ে যাও আর সেনাবাহিনীতে ভর্তি হও । তারা ঠিক এটাই করলো। তারা এতো বীরত্বর সাথে শত্রুর সাথে লড়াই করলো যে শত্রুরা অনেক খারাব ভাবে পরাজিত হয় পালিয়ে গেল। মাধব এবং মকরান্দে ফিরে আশারাপোর রাজা তাদের স্বাগত করার জন্য এগিয়ে আসলো। তাঁর প্রতি অত্যন্ত প্রশংসিত হলো। তখন মাধব রাজাকে জানাল যে সে বিদর্ভ রাজ্যের মন্ত্রী দেবব্রতের ছেলে।
মাধব এটাও জানালো কি সে মালতী কে ভালোবাসে। সে এই কথা ও জানালো যে ভগবতী কামন্দকির সাহায্যে মালতীর সাথে বিবাহ করে নিয়েছি। এখন ওরা দুইজনে নদীর তীরের ঘরে থাকে। রাজা ভুরিভসু কে ডাকলেন আর মাধব এবং মালতীর খবর দিলেন এবং এটিও বললেন যে এখন দু'পক্ষের পরিবারগুলি জড়িয়ে গেছে। তিনি মাধবকে তার স্ত্রীকে আনার কথা বললেন। মাধব নিজের ঘোড়ায় মালতী কে নেয়ার জন্য ছুটে দৌড়ালো তবে মালতী বাড়িতে ছিল না।
সে এই আশা নিয়ে ভাগবতী কামন্দকির এখানে পৌঁছালো যে সম্ভবত মালতী ওখানে হবে।